সন্দ্বীপ উপজেলার ১১নং মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাঁদখা গ্রামের তালুকদার গৌ পশ্চিমে পাশে অবস্থিত চাঁদখা কানেটিং সড়কের খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পারাপারে সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঢালাই পড়ে গিয়ে বর্তমানে কালভার্টের উপরের ইট সিমেন্ট রড তো দুরের কথা একটি বালি পর্যন্ত নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জেলা পরিষদের সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির পাশের রাস্তা চাঁদখা গ্রামে তালুকদার পাড়ার পশ্চিমে বাড়ির পাশে খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটির ঢালাই নেই, রড কিছু নেই। যেখান দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কালভার্ট পারাপারে প্রতিনিয়তই তারা বিপদে পড়ছেন।
বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আর রাতের বেলায় চলাচল করা তো একেবারে অনুপযোগী। কালভার্টির এ সমস্যার কারণে এলাকার বাসিন্দারা তারা তাদের নিত্যপণ্য গাড়ি দিয়ে বাড়িতে নিতে পারছেন না।
জানা গেছে গত মাসে কাঠের একটি পাঠাতন তৈরি করে স্থানীয়রা এতে একটি রিক্সা যাওয়ার সময় কালভার্টের উপর উঠলে কালভার্টের সেটাও ভেঙে যায়। পরবর্তীতে আর সংস্কার না করার কারণে এখানে প্রতিনিয়তই কোন না কোনো দুর্ঘটনা ঘটে চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফর ড্রাইভার জানান, এ কালভার্টি আজ এক বছরের উপরে এ অবস্থা আমরা এখান দিয়ে সাধারণ জীবন যাপন কষ্টদায়ক প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা জামশেদ কারিগর বলেন, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় এ কালভার্টির সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তা বাস্তবায়ন করেন নি। ১১নং মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম বলেন ৭নং ওয়ার্ডে অনেকগুলো কালভার্ট রয়েছে, আমি কালভার্টটি সরোজমিন পরিদর্শন করে খুব দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
টিএইচ