শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল সন্তান

মাদারীপুর প্রতিনিধি

সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল সন্তান

মাদারীপুরের ডাসারে সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার ছেলেকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখাশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন। এ সময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তার বড় সস্তান সৈয়দ জানে আলম।

বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তিনদিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, একাধিক বার আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার সরকারের কাছে চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে সে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমির বিক্রির বাকী টাকা তার একাউন্টেই আছে।

ডাসার থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। 

এব্যপারে ডাসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেয়ার মত নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ দেয়া হবে।

টিএইচ