ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। শুধু একজন তত্ত্বাবধায়ক না থাকায় জ্ঞানের আলোর ছোয়া লাগেনি তরুণ প্রজন্মের।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দ্বিতল ভরণটি সন্ধ্যার পর ভুতোরে অবস্থা বিরাজ করে। নিচতলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিকট ভাড়া দেয়া হয়েছে। ২য় তলায় রয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি কিছু আসবাবপত্র ও প্রায় ৩ হাজার বই। ৪২ বছরের পুরানো এই পাবলিক লাইব্রেরিতে নতুন বই সংগ্রহ করার কোন ব্যবস্থা নেই এরই মধ্যে অনেক মূল্যবান বই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই পাবলিক লাইব্রেরিতে একসময় নানা বয়সী পাঠকরা সাহিত্য গবেষণা, বিষয়ভিত্তিক বই পড়া, নানা রকম বই ও পত্র-পত্রিকা নিয়মিত পড়তেন। সাহিত্য আড্ডা, কবিতা আবৃতি, ইতিহাস চর্চা ও নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই পাবলিক লাইব্রেরিতেই করত। তরুণদের পাঠাভ্যাসে ফেরাতে ও আলোকিত জাতি গঠনে আবার দ্রুত কার্যক্রম চালুর দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
সরাইল উদিচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান বলেন, একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়ে পাবলিক লাইব্রেরিটি দ্রুত চালু করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সরাইল উপজেলা গণগ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, পাবলিক লাইব্ররি হচ্ছে জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ মানুষকে জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য দ্রুত পাবলিক লাইব্রেরি চালু করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা-উল আলম ভূইয়া বলেন, সরাইলের সর্বস্তরের মানুষ চাচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি চালু হোক, আমিও সেটাই চাই। পাবলিক লাইব্রেরি চালু করার সকল কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া চলমান।
টিএইচ