গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আল-মামুন হত্যা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জয়েনপুরস্থ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ-সময় সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. এরশাদুল হক ইমনের সভাপতিত্বে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম, তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ধাপেরহাট জামদানি মোড় এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আল-মামুন হত্যার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে এই হত্যায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা জড়িত না থাকলেও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার যুব বিভাগের সেক্রেটারি গোলাম রব্বানী রতন, ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজন মিয়া, শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি মো. রোস্তম, কর্মী আশরাফুল, রাব্বি মিয়া, বাবু মিয়া, মো. পিয়াস, মো. লিমন, মো. চায়েন,মো. পারভেজ, মো. রেজওয়ান, মো:রায়হান, মো. ফেরদাউস, মো. ওহাব আলী ও মো. রাশেদ সহ ১৬ জন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই হত্যার ঘটনায় কয়েকটি সিসি ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে অপরাধীদের মুখ ঢাকা অবস্থায় লাঠি সোঁটা নিয়ে যাইতে। এরপরেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিভিন্ন পোস্টারে শুধু জামায়াতের নেতাকর্মীদের নামেই ছাপানো হয়েছে, যা জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্য।
টিএইচ
