গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থপর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণি ২৩১ পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ঘর। ২৩১টি পরিবারের মধ্যে এসব ঘর প্রদান করা হলে উপজেলায় থাকবে না ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। দুই শতাংশ খাস জমির ওপর নির্মিত এসব ঘর ও জমির মালিকানা পাবে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।
২৩১টি গৃহ নির্মাণকাজের ফিল্ডপর্যায়ে তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম ও ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) তাইফুর রহমান। ইতোমধ্যেই গৃহ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান।
জানা যায়, ২০২০ সালে সারা দেশে সরকার জরিপ চালিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবার বাছাই করে। এতে দেশে ‘ক’ শ্রেণিতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবার।
সারা দেশে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের জন্য চারটি ধাপে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। ইতোমধ্যেই তিন ধাপে সারা দেশে ‘ক’ শ্রেণির এক লাখ ৭৩ হাজার ২৫৪টি পরিবারের কাছে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে দু লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে ২০২৩ সালের মধ্যে গৃহ ও ভূমি প্রদান করা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, ‘ক’ শ্রেণির ২৩১টি পরিবারের মধ্যে জমি ও ঘর প্রদান করা হলে উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর থাকবে না। উপজেলা ভূমি কমিশনার এসিল্যান্ড তাইফুর রহমান মাঠপর্যায়ে গৃহ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করতে এসে ধাপেরহাট ও ইদিলপুর ইউনিয়নে বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কাজ সফলভাবে শেষ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবে ২ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি মূলে মালিকানা।
টিএইচ