ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) লালমোহন পৌর যুবদলের দুই সদস্য এ মামলা করেন। ২০১১ সালের মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৮৯ জন এবং অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জন। এবং ২০২২ সালের মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৫৪ জন এবং অজ্ঞাত রয়েছেন ১০০ থেকে ১৫০ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুটির বাদী লালমোহন পৌর যুবদলের সদস্য মো. মাকসুদুর আলম ও আজাদ রহমান। দুটির মধ্যে একটি মামলার ঘটনা দেখানো হয়েছে ২০১১ সালে অন্যটি ২০২২ সালের জানুয়ারি। ২০১১ সালের ঘটনার মামলাটি হয়েছে চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে মারপিট। এই মামলার বাদী মাকসুদুর আলম এবং ২০২২ সালের ঘটনায় মামলাটি হয়েছে বেআইনিভাবে মারপিটের অভিযোগে। এ মামলার বাদী মো. আজাদ রহমান।
মামলা দুটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে লালমোহন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে। এছাড়াও মামলা দুটিতে আসামি করা হয়েছে, লালমোহন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান টিটুবসহ আ.লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ আরও অনেককে।
লালমোহন থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, লালমোহন পৌর যুবদলের দুই সদস্য এই মামলাটি করেন। পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাওনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টিএইচ
