মাছ ধরার ট্রলারে মাঝি ও এক জেলে মধ্যে পাওনা মজুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। স্থানীয় সালিশি বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় পাওনাদারকে মারধর করে মাঝি ও তার ছেলেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি অফিসে সাঁটানো পোস্টার ও ব্যানার খুলে নেয় জেলের স্বজনরা।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন বাজারে। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নৌপথে যৌথবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১৫টি দোকান ভাঙচুর, ২টি বসতঘর ও ৮টি দোকান লুটপাট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধা মহিলাসহ ৪০ জন আহত হয়েছে বলে তিনি জানান ।
তিনি বলেন, মারামারি খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, চরবিশ্বাস এলাকায় একটা মাছের ট্রলারে কাজ করত চরবেষ্টিন গ্রামের আশ্রয়ণের এক ছেলে। পাওনা টাকা না দেয়ায় সে মাঝির ট্রলার নিয়ে আসে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার মীমাংসার জন্য নলুয়া বাজারে একটা সালিশ হয়। শালিসের ফয়সালা নৌকার মাঝির মন মতো না হওয়ায় সে ও তার দুই ছেলে মিলে জেলেকে মারধর করে। এরপর জেলে আশ্রয়ণের লোকজন নিয়ে চরবেষ্টিন বাজারের বিএনপি অফিসের পোস্টার এবং ব্যানার খুলে নেয়। এ ঘটনায় বিএনপির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যেই লুটপাট, ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
টিএইচ