শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সিরাজগঞ্জের মেঘাইয়ের স্পার বাঁধ যমুনায় নদীতে বিলীন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের মেঘাইয়ের স্পার বাঁধ যমুনায় নদীতে বিলীন

জেলার কাজিপুর উপজেলায় মেঘাই ১নং স্পার বাঁধের ৩০ মিটার যমুনায় নদীতে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) কাজীপুর স্পার বাঁধে ধস নামে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে।

এদিকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিতে তলীয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমি। 

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়  যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৪ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বেলকুচির খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, বেলকুচি, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের হাটপাচিল ও চৌহালীতে যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। এসব বাড়ি-ঘরের আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। যমুনা গর্ভে সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে অন্যের জমিতে বাস করছেন।

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ, হুড়াসাগর, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীতে পানি বাড়ছে। তবে, নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় চার সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে কাজীপুর মেঘাই ঘাট এলাকার ১নং স্পার বাঁধে ধস নামে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করি। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন আছে। আমরা চেষ্টা করছি ভাঙন ঠেকাতে।

টিএইচ