সিলেটে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
সিলেটকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
জেলা প্রশাসন জানায়, দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেটে ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন মানুষ পানিবন্দি। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টি ওয়ার্ডে বন্যাদুর্গত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ৭১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ২৮ হাজার ৯২৫ জন। এই জেলার ১৫৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩৬টি ইউনিয়নের এক হাজার ৬০২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
টিএইচ