বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে জীবনাচারণ জানতে আরও একটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। গত রোববার সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়া খালে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়। করম জল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাওলাদার আজাদ কবির জানান, কুমিরের জীবনাচরণ ও গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে অবমুক্ত করার এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সুন্দরবনের নদীতে কুমিরের চলাচল ও অবমুক্ত করা কুমিরের বেঁচে থাকা সম্পর্কে জানা যাবে।
এর আগে গত বছরের মার্চে বন বিভাগ ও প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট (আইইউসিএনের) সহযোগিতায় সুন্দরবনের নদী-খালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে চারটি কুমির অবমুক্ত করা হয়।
অবমুক্ত করা কুমিরটির জন্ম ও বেড়ে ওঠা বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজননকেন্দ্রে। এর বয়স ১২ বছর। প্রায় ২০ কেজি ওজনের স্ত্রী কুমিরটি সুন্দরবনে ছাড়ার পর থেকেই তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
কুমিরটি অবমুক্তের সময় উপস্থিত করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের তালিকায় লোনাপানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজননকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অবমুক্ত করা কুমিরটি এ কেন্দ্রেই লালন-পালন করা।
টিএইচ