শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সুবর্ণচরে স্থায়ী ঠিকানা পেল ২৪০ ভূমিহীন পরিবার

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

সুবর্ণচরে স্থায়ী ঠিকানা পেল ২৪০ ভূমিহীন পরিবার

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প- ব্রিজিংয়ের (সিডিএসপি-বি) উদ্যোগে ভূমিহীন ২৪০ পরিবারের মধ্যে প্রায় ৩৬০ একর কৃষি খাস জমির খতিয়ান বিতরণ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার যোবায়ের বাজারের এসএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসব পরিবারের সদস্যদের হাতে জমির খতিয়ান তুলে দেয়া হয়। 
উপকারভোগী বিধবা বিবি হালিমা বলেন, আমাদের বাড়ি ছিল দক্ষিণ হাতিয়া। ৫ বার আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নদীতে বিলীন হয়েছে। 

আজ ভূমির খতিয়ান পেলাম। এখন আর কেউ আমাকে ভূমিহীন বলবে না। ভূমিহীন থেকে আজ ভূমির মালিক হলাম। শেষ জীবনে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো।

সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, আমাদের পুনর্বাসিত প্রক্রিয়ায় একজন ভূমিহীনের খরচ হয়েছে ৭০১ টাকা। আজ ২৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমাদের এই উপজেলায় ২০০০ অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

আমরা প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। খুব দ্রুতই অবশিষ্ট ২০ শতাংশ কাজ শেষ হবে। একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। 

সিডিএসপির টিম লিডার এন্ড্রো জেনকিন্স বলেন, ভূমিহীনদের জন্য আজকের দিনটা খুব আনন্দের। তাদের সঙ্গে আমিও আনন্দিত। 

নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর থিজস ওয়েদস্ত্রা বলেন, চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিএসপি) মেঘনা নদীর এস্তুয়ারিন অঞ্চলের সমগ্র প্রাকৃতিক দৃশ্যকে বদলে দিয়েছে, ভূমিহীনদের জীবনযাত্রাকে রূপান্তরিত করেছে, ক্ষমতায়ন করেছে নারীদের এবং বাংলাদেশে পাঁচটি মন্ত্রণালয় নিয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়নের সমন্বিত অভিগমন করেছে। 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে খাস জমির খতিয়ান বিতরণ এই সরকারের একটি অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার কর্মসূচি। ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার আলোকে চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প নোয়াখালীর প্রত্যন্ত চর এলাকায় ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

টিএইচ