ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস নিয়ে অশালীন মন্তব্যকারী সেই বিতর্কিত শিক্ষিকা রুমা সরকারকে ফেনীতে বদলি করা হয়েছে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ কলেজে বদলি করা হয়।
শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা রুমা সরকার সহকারী অধ্যাপক। তিনি বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৮ অক্টোবর এই বিতর্কিত শিক্ষিকা ফেসবুকে একটি খবরের ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে লেখা ছিল, ‘৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে: উপদেষ্টা নাহিদ’।
পোস্টটির ক্যাপশনে রুমা সরকার লেখেন, ‘৫ আগস্ট নারীর অন্তর্বাস ও জামাতীর পেচ্ছাপ দিবস- রুমা সরকার,। যদিও এখন আর তার সেই ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও গত শনিবার দেয়া অপর একটি পোস্টে রুমা সরকার লিখেছেন, ‘আপনারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের মাথায় প্রস্রাব করলেন। আপনারা একজন মায়ের বয়সী নারীর ব্রা, পেন্টি নিয়ে নাচানাচি করলেন।
গণভবন থেকে আপনারা চেয়ার, টেবিল, ফ্রিজ, টিভি, শাড়ি, গয়না, হাঁস মুরগি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, পাঙাস মাছ, লাউ শাক, থালা বাটি, টয়লেটের কমোট লুট করে নিয়ে গেলেন। আপনারা একজন মাতৃস্থানীয়ার শোবার ঘরের খাটে গিয়ে জুতাসহ শুয়ে পড়লেন! এসব সত্য। এসব ইতিহাস।
আপনারা বাঙালির ইতিহাসের সূতিকাগার, ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি, যা কি-না জাতীয় মিউজিয়াম, সেটিকে পুড়িয়ে দিলেন। বাংলাদেশের জন্ম মানবেন, মুজিব মানবেন না! এটা সত্য। এটা ইতিহাস। আপনারা দেশসেবা করার সুযোগ পেয়েও দেশের উন্নয়ন নয়, ধর্মের লেবাসে ধর্মান্ধতা ছড়াচ্ছেন। এসব সত্য। এসব ইতিহাস।
এদিকে বিতর্কিত এই রুমা সরকারকে ফেনীতে বদলির সংবাদ পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
এর মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির লিটন নামে সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরে লিখেছেন, এই পরিত্যক্ত মালটাকে ছাগলনাইয়ায় পাঠানো হয়েছে। ছাগলনাইয়ার সচেতন মানুষ কী তাকে গ্রহণ করবেন? আমি এই রাষ্ট্রদ্রোহীকে বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তাকে বরখাস্তপূর্বক গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
টিএইচ
