নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় টাকা ছাড়া মিলছে না ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ। এতে এ সেবা খাতের গ্রহীতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নীতিমালা মতে, এক থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধনে কোন ফি নেয়া হয় না। তবে ডিজিটাল নতুন জন্ম নিবন্ধন ৫০ টাকা, নাম ও বয়স সংশোধনে ১শ টাকা নেয়া হয়। শিশুদের জন্য টিকা কার্ড ও বড়দের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা সার্টিফিকেটের কপি দরকার।
তবে নীতিমালা মানেন না এ পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন কর্মকর্তারা। তারা তৈরি করা নীতিতে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া অব্যহত রাখায় নবজাতকের অভিভাবকরা আগ্রহ হারিয়েছেন।
তাই দেড় লক্ষাধিক মানুষের এ শহরে শতকরা ২ ভাগ শিশু নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। ডিজিটাল নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের পর সেবা গ্রহীতাকে সনদ প্রাপ্তির সময় দেয়া হয়। পরে জানানো হয় ফাইলটি হারিয়েছে। নতুন আবেদন করতে হবে। এভাবে হয়রানির পর দিন, মাস, বছর ও যুগ পেরিয়ে গেলেও সহজেই মিলছে না ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ।
মোছা. বাবলী নামে দশম শ্রেণির এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ২০২১ সালে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। এটি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর দেয়া হবে টোকেনে উল্লেখ করা হয়। তবে আজও পাইনি। এখন তারা বলছে, ডাটা এন্ট্রির সময় তথ্য ভুলের কারণে দেরি হবে।
আশরাফুল হক নামে শহরের ১০নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, বয়স পরিবর্তনের জন্য সকল কাগজপত্র জমা দেই। ওই অফিসের কর্মরতরা তিন মাস পর জানায়, এখানে হবে না। জেলা অফিসে যান। যেতে না পারলে দুই হাজার দিলেই ঘরে বসে পাবেন ডিজিটাল বয়স সংশোধনী জন্ম নিবন্ধন। একই অবস্থা বিরাজ করছে ডিজিটাল মৃত্যু সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও।
জন্ম নিবন্ধন শাখার ইনচার্জ মো. আকমল হোসেন রাজু বলেন, এ শাখায় এমন ঘটনা কখনই ঘটে না।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মো. শাহিন হোসেন বলেন, কোন সেবাগ্রহীতাকে হয়রানি বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ