সৈয়দপুরে খরখড়িয়া নদীর উপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন পারপার হচ্ছে ভ্যান, রিক্সা, মোটরসাইকেল, শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। গত ৬০ বছর ধরে এভাবেই চলাচল করছেন ১০ গ্রামের মানুষ।
এলাকারবাসীর অভিযোগ, ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা ওই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট শেষে প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। তাই অবিলম্বে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
সরজমিনে দেখা যায়, পূর্ব দিকে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও পশ্চিম দিকে জানের পাড় বা বসুনিয়াপাড়ার অবস্থান। আর এই ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মধ্যভাগে রয়েছে খরখড়িয়া নদী।
যাতায়াতের জন্য প্রায় ১০ গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটি তৈরি করেন। আবার প্রতিবছর বর্ষার সময় সাঁকোটি ভেঙে যায়। বর্ষা শেষ হলেই পুনরায় আবারও খরখড়িয়া (জানেরপাড়) নদীতে সাঁকো তৈরি করে স্থানীয়রা।
গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ৬০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেলীপাড়া, পাঠান পাড়া, প্রামাণিক পাড়া, বালাপাড়া, বড়দহ, বসুনিয়াপাড়া, জানেরপারসহ খানসামা উপজেলা ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার মানুষ এবং রিক্সা-ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচল করছে এই সাঁকো দিয়ে।
কলেজ ছাত্র শাহিন বলেন, প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। কয়েকদিন আগে এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে এক ভ্যানচালক ও এক স্কুলছাত্র নদীতে পড়ে গিয়েছিল। পড়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। যার মধ্যে ভ্যানচালক আজিজের হাত ভেঙে যায়। সে এখনো রংপুর মেডিকেলে ভর্তি আছে।
বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জুন বলেন, প্রায় ৫০/৬০ বছর ধরে আমার ও আমার পাশের ইউনিয়নের মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো বাঁশের সাকোটির স্থানে ব্রিজের ব্যবস্থা করার। এখানে ব্রিজ তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব না হলেও দুই বছর যাবত ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে (উন্নয়ন তহবিলের টাকা) সাঁকো তৈনি করে দেয়া হচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী রেজা রাজু বলেন, ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ নিরসনের জন্য ইতোমধ্যে খরখড়িয়া নদীর যানের পাড়ে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই খুব শিগগিরই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
টিএইচ