নীলফামারীর সৈয়দপুরে আঞ্চলিক কেন্দ্র ও পোল্ট্রি গবেষণা উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আর এটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে উত্তর জনপদের মানুষের অর্থনীতির চিত্র।
এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে পোল্ট্রি প্রজাতি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, জাত উন্নয়ন এবং অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনশীল স্ট্রেইন উদ্ভাবন, অপ্রচলিত ও বিদ্যমান পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদনগুলোর পুষ্টিমান নিরুপণ এবং গবেষণার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পোল্ট্রির মাংস ও ডিমের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজন, গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়ানো, পোল্ট্রি খামারিদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেয়া ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিএলআরআই-এর পোল্ট্রি বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের গুনগতমান বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ল্যাবের সঙ্গে সমন্বিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন মেয়াদে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরমধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে বাস্তবায়ন হচ্ছে পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টার আঞ্চলিক কেন্দ্র ও পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার বলেন, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মেধাকে আরো বিকশিত করতে হবে। যখনই গবেষণার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তখনই সারাদেশে পোল্ট্রি খাত বিকশিত হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু কমেছে, শিশু মৃত্যু কমেছে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণসহ গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে। সেই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
টিএইচ