সরকার পতনের দিন থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। দু’দিন বন্ধের পর ৭ আগস্ট থেকে আবারও শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এ বন্দরটি।
স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছাত্র বিক্ষোভের কারণে এ মাসের শুরু থেকেই আমদানি-রপ্তানি কমে আসে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন পুরোপুরি বন্ধ হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
এরপর বুধবার থেকে আবারও স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে বন্দর এলাকায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বন্দরের আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমনকি ভারত থেকে আসা ট্রাক চালকরাও।
গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পণ্য নিয়ে আসেন ভারতীয় ট্রাকচালক রঘুনাথ শিন্ডে। তিনি জানান, বাংলাদেশের খবর ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ভারতজুড়েই। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে সব মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা। এমন অবস্থায় পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় আতঙ্কে ছিলেন তারা।
রঘুনাথ শিন্ডে বলেন, পরিবারের লোকজন ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করছিল। কিন্তু পেটের দায়ে আসতেই হয়েছে। এছাড়া চার দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে সোনামসজিদের ওপারে ভারতের মহদিপুর বন্দরে। আজ না এলে আরও অপেক্ষা করতে হতো। রঘুনাথ জানান, মহদিপুরে পাঁচ শতাধিক ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে আটকে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুর রশীদ জানান, আমদানি-রপ্তানিকারকরা বৈঠক করে কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এটা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বন্দর এলাকায় কোনো উত্তেজনা নেই বলেও জানান তিনি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল উদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য নিয়ে ১৩৭ ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আগের দিন বুধবার আসে আরও ৭৫টি ট্রাক। এসব ট্রাকে পেয়াজ, মরিচসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
টিএইচ