সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
মধ্যনগর ও ধর্মপাশায়

সোলার পাম্পে পরিবর্তন হচ্ছে হাওরের কৃষির মান

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 

সোলার পাম্পে পরিবর্তন হচ্ছে হাওরের কৃষির মান

চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে জ্বালানি সংকটের মধ্যেই আশা জাগাচ্ছে সৌর বিদ্যুৎচালিত (সোলার) পাম্প। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে এ পাম্পের মাধ্যমে বোরো ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন কৃষক।

এতে একদিকে যেমন জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে, অন্যদিকে কমে গেছে ধান উৎপাদনের খরচ। স্বস্তি মিলেছে কৃষকদের মাঝে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ দেয়ায় বদলে যাচ্ছে হাওরের কৃষির মান। শুকনো মৌসুমে বোরো ফসল উৎপাদনে সেচ একটি অন্যতম বিষয়। এই সেচের জন্য ডিজেল বা বিদ্যুৎ ব্যবহারে ফসল উৎপাদন খরচ পড়ে অনেক বেশি। বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় সোলার পাম্পের দিকে ঝুঁকছেন হাওরাঞ্চলের কৃষক।

জেলচালিত ইঞ্জিনের সাহায্যে ধান উৎপাদনে যে খরচ হয়, সোলার সেচ পদ্ধতিতে ব্যয় হয় তার অর্ধেক। মধ্যনগর উপজেলার হাওরের আশেপাশের জমিতে সোলার প্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করতে দেখা গেছে কৃষককে। ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় ইচ্ছেমতো সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক।

মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সোলার পাম্পের সুবিধা নেয়া কৃষক পীযূষ সরকার বলেন, আমরা সোলারের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছি। এতে আমাদের বোরো উৎপাদন খরচ অনেক কমে গেছে। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে সোলার পাম্প দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা। এই টাকা পরিশোধ করতে হবে ফসল কেটে ঘরে তুলে বিক্রি করার পর।

কৃষকরা বলছেন, সোলার পাম্পের দাম অনেক হওয়ায় তারা নিজেরা এটা কিনতে পারছেন না। অন্যের সোলার পাম্পে বিঘাতে এক হাজার ৮০০ টাকা চুক্তিতে নিজেদের জমিতে সেচ দিয়ে নিচ্ছেন। সোলার পাম্পের দাম কম হলে পাম্প কিনে নিজেদের জমিতে সেচ দিলে খরচ আরও অনেক কমে যেত। সোলার পাম্পের দাম যাতে প্রান্তিক কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসে, সে ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, দুই উপজেলায় যে পরিমাণ বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে, সেই জমিগুলোতে যদি বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত পাম্পের পাশাপাশি সৌরশক্তিচালিত পাম্পের মাধ্যমে সেচ দেয়া যায়, তাহলে কম খরচে কৃষক বোরো ফসলের আবাদ করতে পারবে। 

টিএইচ