রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সড়কের বন্ধ থাকা কাজ এখন নগরবাসী গলার কাটা

বরিশাল ব্যুরো 

সড়কের বন্ধ থাকা কাজ এখন নগরবাসী গলার কাটা

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর শেষ সময়ে নগরীতে তড়িঘড়ি করে শুরু হয় একাধিক সড়কের নির্মাণ কাজ। এসব কাজের মধ্যে কিছু কাজ সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নে এবং কিছু রয়েছে জার্মান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে। 

নিজস্ব অর্থায়নে যে কয়টি সড়কের কাজ শুরু করেছিলো সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এরমধ্যে বেশিরভাগ কাজই ফেলে রাখার কারণে এখন নগরবাসীর গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। আর জার্মান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে যেসব সড়কের কাজ শুরু হয় এরমধ্যে দু একটি কাজ শেষ হলেও বেশিরভাগ কাজ রয়েছে চলমান। 

তবে বর্তমান মেয়র পুনরায় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে এসব কাজে অনেকটা গতি কমে এসেছে। বেশীরভাগ কাজ রয়েছে বন্ধ। যদিও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি সার্বক্ষনিক চলছে কাজ। তবে নিজস্ব অর্থায়নে যেসব কাজ চলমান ছিলো তা বন্ধ আছে বলে স্বীকার করেছেন বিসিসির প্রকৌশল বিভাগ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বেশির ভাগ সড়কের কাজ বন্ধ। সড়ক খুড়ে মাঝপথে কাজ বন্ধ থাকায় থাকায় নগরের বাসিন্দাসহ পথচারীরা পড়ছেন বিপাকে। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নগরীতে সড়ক, খাল ও ড্রেন নির্মাণের জন্য কেএফডব্লিউ নামে একটি প্রকল্প পাস হয়। 

১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ টাকা দেবে জার্মান সরকার এবং ২০ ভাগ দেবে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প পাস হলেও নগরীতে কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। নগরবাসীর দাবি ১৩০ কোটি টাকার উন্নয়নের বাস্তব চিত্র কিছুই দেখেননি তারা। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এই টাকা গেলো কোথায়। 

নগরীর অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে ভরা। নগরবাসী প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৯ সালে যে প্রকল্প পাস হলো সেই প্রকল্পের কাজ শেষ সময় এসে শুরু করা হলো কেন। আবার শুরু করে বন্ধ রাখা হলো কেন। 

কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাসার বলেন, কেএফডব্লিউ প্রকল্পে নগরীতে ২২ কিলোমিটার ড্রেন, ৭ কিলোমিটার খাল খনন এবং আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কথা। 

ইতিমধ্যে ১০ কিলোমিটার ড্রেন এবং ১ কিলোমিটারের বেশি সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ (পশালপুর, কলেজ রো, এবং চৌমাথা এলাকায়) চলমান রয়েছে এবং চলছে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দাতা সংস্থা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করবে মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ করতে হবে। 

কাজ বন্ধের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কেএফডব্লিউ প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার সুযোগ নেই। তবে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে যে কয়টি সড়কের কাজ চলমান ছিলো তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

নগরীর কলেজ রো, অক্সফোর্ড মিশন রোড, গোরস্থান রো, আদম আলী হাজির গলি, পলাশপুর, নথুল্লাবাদ লুৎফুর রহমান সড়কসহ নগরীর অনেকগুলো রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়েছে। কোথাও অর্ধেক ড্রেনের কাজ হয়েছে। আবার কোথাও অর্ধেক রাস্তার কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে। যার কারণে এবার বর্ষায় জনভোগান্তি আরো চরমে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

টিএইচ