হবিগঞ্জে-সহজ-সরল দুজনের বিকাশ থেকে প্রতারণা করে আশি হাজার টাকা নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। বিষয়টি হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম সেবাকে দুজন ভুক্তভোগী লেখিতভাবে জানালে, পুলিশ সুপারের নির্দেশে হবিগঞ্জ সাইবার ক্রাইমের মনিটরিং সেলের তৎপরতায় বিকাশ হতে প্রতারণাপূর্বক হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধারপূর্বক মালিককে ফেরত প্রদান দেন পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া গ্রামের শাহীন মিয়া অভিযোগ করেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি শাহীন মিয়াকে ফোন দিয়ে জানায় তার বিকাশ একাউন্টে ২৮ হাজার পাঁচশ টাকা লেনদেন না করলে তার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। সরল বিশ্বাসে তার একাউন্টে ২৮ হাজার পাঁচশ টাকা জমা করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একাউন্টে থাকা পূর্বের টাকাসহ মোট ৩৮ হাজার ৬৯৯ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে যায় প্রতারক।
এছড়াও জায়েদা খাতুন অভিযোগ করেন গত ১৭ মার্চ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জায়েদা খাতুনকে ফোন দিয়ে জানায়, তার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। সেই একাউন্ট চালু করার জন্য তাকে একটি ওটিপি দিতে হবে এবং ভিকটিম ওটিপি দিলে একাউন্ট থেকে ৪০ হাজার ২০৫ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি ও পুলিশ অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে অভিযোগকারীরা পুলিশ অফিসে অভিযোগ করলে ওই অভিযোগের আলোকে জেলা পুলিশ সুপার সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের নিকট তদন্তভার অর্পণ করলে, মো. শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), হবিগঞ্জের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শাহীন মিয়াকে ৩৮ হাজার টাকা এবং জায়েদা খাতুনকে ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ সুপার প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন। এ ঘটনাটি হবিগঞ্জের সচেতন মহলের নিকট যাদুর কাঠি বলে অভিমত করেন। তিনি সমপ্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় প্রসংশা কুড়িয়েছেন।
টিএইচ