ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে অন্তত ৫০ বিঘা জমির পানের বরজ। এতে ৫০-৬০ জন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) উপজেলার পারদখলপুর শ্রীরামপুর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় মাঠের সেচ পাম্পগুলো অচল হয়ে পড়ে। ফলে পানির অভাবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
কৃষক মারুফ লস্কর বলেন, সকালে মাঠে কয়েকজন কৃষক কাজ করার সময় পানের বরজে আগুন দেখতে পান। পরে তাদের চিৎকারে মাঠে গিয়ে দেখি পানের বরজে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমারও দুই বিঘা পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে মাঠের সেচপাম্পগুলো অচল হয়ে পড়ে। তাই আমরা আগুন নেভাতে পারিনি। যদি বিদ্যুৎ বন্ধ করে না দেয়া হতো তাহলে সেচপাম্প থেকে পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম অনিক অধিকারী বলেন, আসলে আগুন লাগার পর সেটি বিদ্যুতের লাইনের মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্যই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়।
হরিণাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে।
টিএইচ