আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী চট্টগ্রাম ১৫ আসনের ২ প্রার্থীর হলফনামায় আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কারও সম্পদ ও আয় বেড়েছে। কারও স্ত্রীর সম্পদ বেশি, আবার কারও দেনা রয়েছে।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর এফডিআর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় পেশা উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এমএ, পিএইচডি।
তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানি ভাতা দেখিয়েছেন ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ টাকা, জাতীয় সংসদ থেকে প্রাপ্ত ভাতা দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৭ টাকা। নিজের নামে নগদ টাকা আছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪১ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ২০ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ টাকা।
নিজের নামে ব্যাংক ডিপিএস ২ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৪ টাকা, এফডিআর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা, স্ত্রীর নামে ডিপিএস ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮ টাকা, এফডিআর ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৬ টাকা। এছাড়া বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৬৬ টাকা, নিজের নামে ৯০ ভরি স্বর্ণ ও অন্য ধাতুর মূল্য দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫০ ভরি স্বর্ণের দাম দেখিয়েছেন ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিজ নামে ৪ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা, আসবাবপত্র নিজ নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকা দেখিয়েছেন।এছাড়া নিজের নামে অন্য আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৬ টাকা।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন বিএসসি।
এছাড়া তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৬ টাকা, বাড়ি-দোকান ও অন্য বাবদ আয় ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ২০ হাজার ৬২৬ টাকা, পেশা থেকে (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন পরামর্শক ইত্যাদি) আয় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, চাকরি (পরিচালক ভাতা) ১৮ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আয় ৭ লাখ ৭ হাজার ৫৮৭ টাকা। পেশায় ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেবের নিজের নামে নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ২০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৯ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৪ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৩ টাকা।
এছাড়া বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ৬১ হাজার ৬৩৫ শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৫৯ হাজার ১৯৫ শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও অন্য ধাতুর মূল্য দেখিয়েছেন এক হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিজ নামে ১৪ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র নিজ নামে ১২ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অকৃষি জমি নিজ নামে ৮২ লাখ ৮০ হাজার ৫৩৬ টাকা এবং স্ত্রীর নামে আছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৫ টাকা, নিজ নামে একটি দালানের মূল্য দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৪ টাকা, স্ত্রীর নামে একটি দালানের মূল্য দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫০ টাকা, নিজ নামে বাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৫০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামার ইত্যাদির আর্থিক মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৭ টাকা।
টিএইচ