নীলফামারীতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ব্যবসায়ীর হারিয়ে যাওয়া ১৫ লাখ টাকার ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধায় সদর থানায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের হাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( নীলফামারী সার্কেল) মো. মোস্তফা মঞ্জুর ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন । এসময় সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পরিদর্শক তদন্ত পলাশ চন্দ্র মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বগুড়া ধুনট চৌকিবাড়ি এলাকার মৃত আমীর হামজার ছেলে। তিনি নীলফামারী এলাকায় ভুট্টা কিনতে এসেছিলেন।
পুলিশ জানায়, এক ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানায় সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কানাইকাটা এলাকায় চায়ের দোকানে ভুলে ব্যাগ রেখে আসেন। পরে ব্যাগটি আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। হারিয়ে যাওয়া ব্যাগে পনেরো লাখ টাকাসহ অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টও ছিল।
সংবাদটি পাওয়া মাত্র নীলফামারী সদর থানার মোবাইল টিমের দায়িত্ব থাকা এসআই রনি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। পরে চায়ের দোকানদার জবেদ আলীর বাড়ি থেকে টাকার ব্যাগটি সম্পুর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সবার উপস্থিতিতে টাকার প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই টাকাটা আমাদের ভুট্টা কেনার টাকা। হারানোর পর ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে হারানো টাকা ফিরে পেয়েছি। এজন্য নীলফামারী সদর থানার ওসি ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) মো. মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তৎক্ষনাৎ আমরা একটি টিম পাঠাই। ৪ ঘণ্টা বিভিন্ন যায়গায় তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধার করি। পরে প্রকৃত মালিক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের হাতে সম্পুর্ণ টাকা তুলে দেই
টিএইচ