ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি ওজনের ৪০ বস্তা চাল উদ্বার করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ।
গত সোমবার রাতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্বার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা হাসানের প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষা অফিসার রতন দাস ও হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
স্থানীয়রা জানায় গামারিতলা বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মোবাসের হোসেন ওরফে রিয়াদ কালোবাজারির মাধ্যমে চালগুলি বিক্রি করে অধিক মুনাফা করার জন্য গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে উদ্বারকৃত চালগুলো মজুত করেন। পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন পালিয়ে যায়। জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা খাতুন বলেন, আজ দুপুরে একটি গাড়ি দিয়ে চালগুলো তার বাড়িতে পাঠায়। চালগুলোর মালিককে তিনি বলতে পারেন না বলে জানান।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মোবাসের হোসেন ওরফে রিয়াদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।
হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল করিম বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল গামারীতলা গ্রামের আক্রাম হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে উদ্বার করে নিয়ে আসি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামাদুল ইসলামকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জব্দকৃত চালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বিকৃতি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা হাসান বলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার রতন দাস ও হালুয়াঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্বার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ