আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়ছে। গত ১ থেকে ৬ আগস্ট পতনের আগে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। আর পতনের পর ৭ থেকে ১০ আগস্ট রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এর মধ্যে দুদিন ছিল সপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ইন্টারনেট ও সংঘাতের কারণে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা দেন। এর প্রভাবে ওই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে। তার ধারাবাহিকতা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল। তবে সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। কারণ নতুন সরকারকে সবাই ভরসা করছে। গত মাসে দেশে প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। জুলাই মাসে যে আয় এসেছে, তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।
তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৭ কোটি ডলার। ৭ থেকে ১৩ জুলাই এসেছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। ১৪ থেকে ২০ জুলাই এসেছে ৪৫ কোটি ডলার। ২১ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসেছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ২৮ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এসেছে ৩৪ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে জুনের চেয়ে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর আগে গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা ছিল গত তিন বছরের মধ্যে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
টিএইচ