প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ খাতের প্রতিষ্ঠান নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লেনদেন মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে রোববার (১৬ অক্টোবর) সিডিবিএলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত শেয়ার তাদের বিও হিসাবে জমা করেছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই থেকে জানা যায়, কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৬.১৬ গুন বেশি আবেদন জমা পড়ে। প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীরা ৪৫ টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৮৮ টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।
আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতিটি শেয়ারের জন্য মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা। স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের (Non-Resident Bangladeshi-NRB) জন্য মোট এক কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০ শেয়ার সংরক্ষিত আছে।
বিএসইসির নির্দেশনানুসারে, কাট-অফ প্রাইসের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। এই হিসাবে নাভানা ফার্মার শেয়ারের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামে শেয়ার বিক্রি করা হয়। এতে তাদের জন্য সংরক্ষিত সব শেয়ার বিক্রি শেষ হয় ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। এটিই শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই টাকা নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
গত ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত তথ্যে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (অনিরীক্ষিত) ছিল ১৯.০২ টাকা, তবে নিরীক্ষিত হিসাবে তা বেড়ে ৪৩.৫৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৩৯ টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ২.৫২ টাকা।
তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না, বিএসইসি থেকে এমন শর্ত দেয়া হয়। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
টিএইচ