জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে চিনির বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া বাজারের অস্থিরতার পেছনে চিনি উৎপাদনের ঘাটতি ও ব্যবসায়ীদের মজুত করাকেই দায়ী করছে সংস্থাটি।
কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চলতি মাসের শুরুতেই কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম ৯০ আর প্যাকেটজাত চিনির দর ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি প্রায় উধাও হয়ে গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছে না। নিজেদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়াচ্ছে।
আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে তাদের উৎপাদন কমেছে। যার জন্য বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
খুচরা দোকানদাররা অবশ্য সেই পুরোনো কথাই বলছেন। বেশি দামে কেনা তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। কোম্পানিগুলো মিলেমিশে দাম বাড়াচ্ছে, আপনারা তাদের কাছে জানতে চান কেন দাম বাড়াচ্ছে।
এ অবস্থায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে রোববার (২৩ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, আমরা রিফাইনারি থেকে উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করছি। আজ আমরা অভিযান করছি, এ সময়ে যদি দেখা যায় যে পাইকারি ও ডিলার পর্যায়ে চিনি আটকে রেখে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাহলে আমরা আজকে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।
মৌলভীবাজার বড় চিনির মোকামে দুপুরে মিটিং করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা সব পক্ষকে ডাকব। আমরা আলোচনা করব সমস্যাটা কোথায় হয়েছে।
এ সময় পাইকারি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বাড়তি দামে চিনি কিনতে হয় বলেই সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব নয়। তাই অনেক ব্যবসায়ী চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
দু-এক দিনের মধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রিফাইনারি মিলগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
টিএইচ