শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফের বেড়েছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের বেড়েছে চালের দাম

এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে মোটা চালসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম। মোটা চাল ন্যূনতম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা। আর মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। কিছুটা কমতি সবজির দামও। তেল, চিনি, আটা, ডাল ও অন্যান্য মুদি উপকরণের দাম আগের মতোই রয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে আমন মৌসুমের নতুন চাল এসেছে। তবে তা বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। কেজিপ্রতি বিআর-২৮ এখনও বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আটার দাম এখনও কমেনি। এক কেজির আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, আর খোলা আটা ৬৫ টাকায়। তবে কমতির দিকে মুরগি ও ডিমের দাম। কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। আর ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। সরবরাহ বেড়েছে শীতের মৌসুমি সবজির। কমছে দামও। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। বাজারে তেল, ডাল, চিনি ও অন্যান্য পণ্যের দামও আগের মতোই রয়েছে।

মৌসুম শেষ হওয়ায় চালের দাম বাড়ছে বলে জানালেন মালিবাগ রেলগেট কাঁচা বাজারের চাল বিক্রেতা আলম রহমান।

তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বাজারে আমনের চাল আসলে দাম কমতে পারে। বাজারে এখন মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। সরু চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম চালের দাম দুই টাকা, মিনিকেট দুই টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম পাঁচ টাকা বেড়েছে। চিকন চালের দাম কেজিতে তিন টাকা বেড়ে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা এবং পাইজাম চাল দুই টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আটার দাম গত এক মাসে তিন দফা বেড়ে প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় ঠেকেছে। ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা। খোলা আটা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি এখন প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাবে কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগির দামও। কেজিপ্রতি সোনালি মুরগির দাম পড়ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা কম।

কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা রুবেল হাসান বলেন, বাজারে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে চালের ওপর। দরিদ্র মানুষ রুটির পরিবর্তে এখন ভাত খায়।

বাজারে দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া তেল ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা এবং চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। তবে চিনি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা আর ১৯০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে তেল।

এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি প্রচুর থাকলেও সে অনুযায়ী দাম কমেনি।

খুচরা বাজারে পেঁপে ৩০ আর মুলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন অন্যান্য সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনাবেচা চলছে। কিছু সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে, যেগুলো গ্রীষ্মের। এরমধ্যে শিম, পটলের তুলনায় অন্য সবজির দাম বেশি। পাকা বা আমদানি করা টমেটোর কেজি ১১০ থেকে ১২০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

টিএইচ