আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
তারই আলোকে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গর্ভনর- এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দুদকের কাছে নেই।
দুদক আরও জানিয়েছে, ৩৭০০ কোটি টাকা লোপাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ গভর্নরসহ কর্মকর্তারা জড়িত ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পিকে হালদারসহ অর্থপাচারের ৩৪টি মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আজ দুদকের আইনজীবী এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।
আদালতে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
টিএইচ