চলতি মাস অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) ১৩ হাজার ৭৫০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৬৮৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাস অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৯০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৭টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এটি গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। এর আগে গত ২০১৯ সালের মে মাসে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার ডলার এসেছিল।
এর আগে গত জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসা প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল।
টিএইচ