ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছয়টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের পকেট গেটে দুটি এবং সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে একটি, জিয়াউর রহমান হলের সামনে একটি এবং ব্যবসায় অনুষদ ভবনের পাশে দুটি ককটেল সদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে পুলিশের মাধ্যমে সবগুলোই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গভীর রাতে গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্যটি জানতে পারি। এখন পর্যন্ত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ইবি থানা পুলিশের সহায়তায় সবগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার পরেই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। তবে আমি মনে করি এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না। কে বা করা জড়িত সনাক্ত করা যায়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।
ইবি থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, ইবি প্রশাসনের সাথে মিটিং শেষ হয়েছে। দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তল্লাশি করা হবে। যেহেতু দৃশ্যমান স্থানে এসব বস্তু পাওয়া গেছে এবং একটাও বিস্ফোরণ ঘটেনি, সুতরাং সন্দেহজনকও বটে। তদন্ত কাজ চলমান আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ককটেল বিষয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত সুতরাং বিষয়টিকে ছোটো করে দেখা যাচ্ছে না। ক্যাম্পাসে এ ধরনের বস্তু পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। নির্বাচনকেন্দ্রীক কারও কোনো নাশকতার ভাবনা থেকে থাকলে সবগুলো এক জায়গায় থাকতো। বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা হতো না।
বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা এটা উদ্বেগজনক। কেননা এখানে আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা চলাফেরা করেন। তাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেও এটা করা হয়ে থাকতে পারে। ইবি থানা ও প্রক্টরিয়াল বডিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিডি করা হবে।
এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে কিনা, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ঠিক জানি না। তবে সারাবছর কমবেশি নিয়োগ বোর্ড থাকে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর সাথে ওটার সম্পৃক্ততা আছে কিনা বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়গুলো বেড়িয়ে আসবে।
টিএইচ