দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্ব স্ব জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় যেসব অবকাঠামো আছে, সেগুলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিবেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী অবস্থায় সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ীই হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়নবিষয়ক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। রোববার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য শতভাগ শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। ভবনের নির্মাণ, ক্লাসরুমের ডিজাইন, ফার্নিচারের ডিজাইনে পরিবর্তন আনাও একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।
শিক্ষার্থীদের মাঠমুখী করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের মাঠে নিয়ে আসতে হবে। প্রকৌশলীরা তাদের মনোজাগতিক পরিবর্তন আনতে পারে। প্রতিটি সাইটই শিক্ষার সাইট। মাদ্রাসা, অধিদপ্তর কিংবা বিদ্যালয়ের বিল্ডিং হোক সবখানেই প্রকৌশলীরা আছেন। আমরা দাপ্তরিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশে ইনোভেশন হচ্ছে না, কারণ প্রকৌশলীরাও অফিসে বসে কাজ করছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশলের ইঞ্জিনিয়াররাই পরিমিত ব্যয়ের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
টিএইচ