শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ববিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

ববি প্রতিনিধি 

ববিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার রাতে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রিদম-আবিদ গ্রুপের সাথে রাফি-নাভিদ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তার প্রেক্ষিতে রাফি-নাভিদসহ তাদের গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এভাবে দুই গ্রুপের মধ্যে চার দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার রুপাতলি কোচিং সেন্টার ভাড়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের কথাকাটাকাটি হয়। তার প্রেক্ষিতে ওইদিন স্থানীয়দের পক্ষ নেয়ায় রিদম-আবিদ গ্রুপের সাথে রাফি-নাভিদ গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

গত রাতে ক্যাম্পাসে এ বিষয়ে বসাবসির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হামলা পাল্টা হামলা ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে বহারাগতদের নিয়ে রিদম-আবিদ গ্রুপ সিফাত-নাভিদের ওপর হামলা করে। তার প্রেক্ষিতে রাফি-নাভিদ গ্রুপ আবিদ রিদম গ্রুপের ওপর হামলা করে। 

এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচের আল সামাল শান্ত, মাহমুদুল হাসান তমাল, নাওয়ার হক, সরোয়ার আহমেদ সাইফসহ ৭-৮ জন রিদম-আবিদসহ বহিরাগতদের প্রটোকল দিয়ে ক্যাম্পাসের বাহিরে বের করে দেয়ার অভিযোগ করে রাফি-নাভিদ গ্রুপ। পরবর্তীতে রাফি-নাভিদ গ্রুপ শান্ত-তমাল গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হলের ফ্লোরে ফ্লোরে শোডাউন দেয় উভয়পক্ষ। 

সংঘর্ষ চলাকালে ৫ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হল ২০১৮-১৯ সেশনের বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রুমান হোসেনসহ ২০১৭-১৮ সেশনের মাহমুদুল হাসান তমাল এবং ২০১৫-১৬ সেশনের গণিত বিভাগের আবিদ হোসেন ও ২০১৩-১৪ সেশনের গণিত বিভাগের মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত। আহত সকলেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়রে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী।

ঘটনায় আহত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান নাভিদ বলেন, দুইদিন আগে রুপাতলী আমার এক বন্ধুকে নিয়ে ঝামালে বাধে| সেই ঘটনা আমরা সমাধান করে আসি| পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার স্থানীয়রা ক্যাম্পাসে আসে| আলোচনার এক পর্যায়ে আবিদ, আল সামাদ শান্ত, মাহমুদুল হাসান তমাল এদের ইন্ধনে বহিরাগতরা আমার ওপরে হামলা করে এবং আমাকে আহত করে| এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি|
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ জানান, মারামারি হয়েছে মূলত ভুলবোঝাবুঝির কারণে, সম্পূর্ণ স্থানীয়রা করেছে। আমরা এর সঙ্গে যুক্ত না। ঝগড়া বা মারামারি যেন না বাধে সেজন্য আমারা চেষ্টা চালিয়েছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান, গতকাল রাতে সিনিয়র জুনিয়র একটা হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। ঘটনার জানার তরপরই আমি ক্যাম্পাসে এসে দুই গ্রুপের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। এখন ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

টিএইচ