সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বাকৃবিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাকৃবিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে গেছে। হালকা বৃষ্টিতেই রাস্তার ভাঙ্গা অংশগুলোতে পানি জমে থাকে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মধ্যে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের সামনের রাস্তাগুলোতে জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এসব হলের রাস্তার পাশে ড্রেন দিয়ে বৃষ্টি পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে হলের শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বর সংলগ্ন মাঠ, আমতলা, হ্যালিপ্যাড, পশু পালন অনুষদের করিডরের দুই পাশে, দেবদারু রোডসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সড়কগুলোর পাশে ড্রেন থাকলেও অকাঠামোগত ত্রুটির কারণে বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশিত হতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে জায়গায় জায়গায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী হলের সড়কটির দুইপাশে কোনো ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। সড়কের একপাশে রেল লাইন অন্য পাশে সোহরাওয়ার্দী হলের খেলার মাঠ। সড়কের বিভিন্ন অংশ সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া দুইপাশের কিনারা হতে সড়কটির উচ্চতা কম হওয়ায় মাঠের ও রেল লাইন থেকে বৃষ্টির পানি রাস্তাতে এসে জমা থাকে। ফলে সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দূর্ভোগে পড়তে হয় ওই হলের শিক্ষার্থীদের। সোহরাওয়ার্দী হলের রাস্তাটি ফসিলের মোড়, আবদুল জব্বার মোড় ও লো-ডাউন ব্রিজের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সাথে সংযুক্ত।

সোহরাওয়ার্দী হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত রাফি জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সড়কের একটি সোহরাওয়ার্দী হলের সামনের সড়কটি। এ সড়কে যানবাহনের খুব কম চলাচল করে। বৃষ্টির দিনে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না। পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। ফলে ক্লাস ও পরীক্ষার দিনে খুব ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এই সড়কের দুই পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ নিরসন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।

ওই হলের আরেক শিক্ষার্থী ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির শেষ নেই। সোহরাওয়ার্দী হলের একমাত্র সড়কটি নিচু এবং হল সংলগ্ন ড্রেন গুলোর সঠিক পরিচর্যা ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের এরূপ ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এমতাবস্থায় আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের চলাচল যেন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি ও অনুরোধ জানাই এ সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হল থেকে জব্বার মোড় যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে জায়গায় জায়গায় খানা-খন্দক সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে রাস্তাটি। একটু বৃষ্টিতেই ড্রেন উপচে রাস্তায় পানি উঠে পড়ে। রাস্তাটি অচিরেই সংস্কার করা প্রয়োজন।’

সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রবিউল করিম বলেন, হলের সামনের রাস্তা হলের আওতাভুক্ত নয়। সেজন্যে হল প্রশাসনের ওই রাস্তা সংস্কার করার কোনো সুযোগ নেই। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করবে। আমি মাত্র ১৬ দিন হলো নতুন প্রভোস্ট হিসেবে যোগদান করেছি। সবকিছু গুছিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের রাস্তাটি সংস্কার আমাদের পরিকল্পনায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছুটিতে দেশের বাইরে আছেন। তিনি আসলেই আমরা বসে বাজেট ফাইনাল করবো।

এসএম