শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

সাত দফা দাবিতে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির আল্টিমেটাম

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

সাত দফা দাবিতে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির আল্টিমেটাম

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সামপ্রতিক সময়ে শিক্ষকদের সাথে সংঘটিত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধান না হওয়ায় প্রশাসনের কাছে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। একই সাথে দাবি আদায় না হলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম তথা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 

স্মারকলিপিতে উল্লিখিত সমস্যা সমূহের মধ্যে রয়েছে—
১) পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় শিক্ষক তালাবদ্ধ হওয়ার ন্যাকারজনক ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন কর্তৃক অধ্যাবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা।
২) তদন্তে কোনো প্রকার দোষী সাব্যস্ত না হওয়া সত্ত্বেও একজন শিক্ষককে প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে সব কোর্স ও পরীক্ষা হতে অব্যাহতি/শাস্তি প্রদান করা।
৩) শিক্ষকদের পদোন্নতিতে দীর্ঘসূত্রিতা।
৪) ভর্তি পরীক্ষার সমুদয় অর্থ খরচের ক্ষেত্রে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মানি থেকে বঞ্চিত করা।
৫) বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে শিক্ষকদের বঞ্চিত করা।
৬) একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অদ্যাবধি কোনো প্রকার তদন্ত ও বিচার না হওয়া।
৭) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সর্বত্র বহিরাগত ও মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ, একাডেমিক ভবনের সামনে বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইফাই ব্যবহার, একাডেমিক ভবনে রাতের আঁধারে শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুরে শিক্ষকদের নিরাপত্তা ব্যাহত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা প্রক্টরের নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করা।

এসব সমস্যার প্রেক্ষিতে গত ১১ অক্টোবর এক সাধারণ সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সভায় উপস্থিতির সর্বসম্মতিক্রমে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উল্লিখিত দাবি আদায়ে না হলে আগামী ১৬ অক্টোবর একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। একইসাথে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম তথা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্মানহানি হওয়ায় তার সুষ্ঠু সমাধান ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হলে সাধারণ শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

টিএইচ