সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৮ জেলার পরীক্ষা হয়েছে গত ৮ ডিসেম্বর। পরীক্ষা বাতিল এবং ওই নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী ফাতেমা আক্তার নামে এক প্রার্থী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেছেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এ ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। এ কারণে ৮ ডিসেম্বর গ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিল করে নির্বাচনের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।
আগামীকাল (১৪ ডিসেম্বর) রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলেও জানান আইনজীবী। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কয়েকশ প্রার্থী।
মানববন্ধনে ৮ ডিসেম্বরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তারা।
টিএইচ