সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের-১৩ কলেজের কেউ পাস করেনি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের-১৩ কলেজের কেউ পাস করেনি

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। এ বছর এই বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। একই সঙ্গে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। তবে গত বছরের তুলনায় অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। এই বোর্ডে এবার ১৩টি কলেজে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।

গত বুধবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছর এইচএসসিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এই বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৬৭১টি কলেজ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৯৩ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৯ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭৮ হাজার ৮৪৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৫৫ জন ছাত্রী ও ৫ হাজার ৫৭৫ জন ছাত্র। গত বছর এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে তুলনায় চলতি বছর জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে ৩ হাজার ৫১৯।
জানা গেছে, গত বছর এই বোর্ডে অকৃতকার্য কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি। তবে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এই ১৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মাত্র ৬৫ জন।

কলেজগুলো হলো ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার গগড় কলেজ (১৩ জন), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মহিলা কলেজ (১১ জন), কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সিংগার ডাবরিরহাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭ জন), পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ (৭ জন), পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মারেয়া মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭ জন), লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার নাসির উদ্দীন কলেজ (৬ জন), একই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দুহুলা এসসি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪ জন), নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চৌধুরীরানী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (৩ জন), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সনকা আদর্শ কলেজ (৩ জন), গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ (১ জন), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া মহিলা কলেজ (১ জন), দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (১ জন) ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১ জন)। 

সনকা আদর্শ কলেজে গেলে প্রতিষ্ঠানে কাউকে না পেলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।   সেখানকার স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে যেমনি ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম তেমনি শিক্ষকদেরও তেমন উপস্থিতি না থাকায় এই অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।

বাকি প্রতিষ্ঠান গুলোরও একই অবস্থা। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন, বিল বেতন না থাকায় শিক্ষকদের উপস্থিতি না থাকায় পাসের হার শূণ্যের কোঠায় দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়।

টিএইচ