রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

মানহীন খাবার বিক্রিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মানহীন খাবার বিক্রিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ইফতারে মানহীন খাবার বিক্রিকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। 

গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন ‘সারেং’ খাবার হোটেল থেকে কেনা ইফতারে মানহীন বেগুনি পাওয়ায় অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাকবিতন্ডায় জড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি ঘটনাস্থলে এসে রাতে দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী একত্রিত হওয়ার খবর পেয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় হোটেলের গ্লাস ও আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, রাস্তায় লাঠি হাতে শোডাউন ও ইট ছোড়াছুড়ি চলে দীর্ঘক্ষণ। 

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের রাস্তার পাশের কক্ষগুলোতে পাথর ছুঁড়ে মারে এলাকাবাসী। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ছাড়াও দ্বিতীয় গেট ও বটতলা সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের মেসগুলোতে হামলা চালায় এলাকাবাসী। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরাও হামলা চালায় ও কয়েক দফার হামলায় সারেং হোটেল ভাঙচুর করে। এসময় ঘটনাস্থলে সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল), ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি জানান, যে অনাকাঙ্খিত উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো সেটি কাটিয়ে আমরা সুষ্ঠু পরিবেশে আছি।

এ বিষয়ে ত্রিশাল ইউএনও জুয়েল আহমেদ বলেন, হোটেলের খাবারের মানের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার। এসব বিষয়ে আমরা যেনো আইন নিজের হাতে তুলে না নেই। পরবর্তীতে আমাদের মনিটরিং থাকবে। 

সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। এ ব্যাপারে সারেং হোটেলের মালিক ও পরিচালক সালাম মিয়া জানায়- বেগুনি পচা ছিলো না, ইফতারের  আগে তাড়াতাড়ি করায় একটু কম ভাজা হয়েছে। 

মূলত পূর্ববর্তী ঘটনার রেষ ধরে গত রোববার আমার দোকানে কিছু শিক্ষার্থী প্রথম দফায় আমার হোটেলে ভাংচুর এবং দ্বিতীয় দফায় আবারও ভাংচুর ও ক্যাশ লুটপাট করে। 

অন্যদিকে সোমবার (১৮ মার্চ) দোকান মালিক সমিতি ও এলাকাবাসী একজোট হয়ে সারেং হোটেলে হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন খাবারের দোকানসহ সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছেন। 

টিএইচ