শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

যবিপ্রবি ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবি

যবিপ্রবি প্রতিনিধি 

যবিপ্রবি ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেন লাগামছাড়া দুর্নীতি-অনিয়মের কারখানা। আর এসব অনিয়মের নেপথ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছেন খোদ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। 

সর্বশেষ আলোচিত ‘লিফটকাণ্ড’ তদন্তের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশে তদন্তও করেছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে উপাচার্য নিজের পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

এদিকে নানা সময়ে আলোচিত সমালোচিত ভিসি আনোয়ারসহ তার অনুসারীদের পদত্যাগরে দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। গত সপ্তাহ থেকে চলমান আন্দোলন থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যারালসহ বিভিন্ন ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। 

শনিবার (১৭ আগস্ট) মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলেও বৃহৎ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

তবে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে পদত্যাগের বিষয়ে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ তিনি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক। ভর্তি প্রক্রিয়ার ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩ শতাংশ শেষ করতে পারলে দায়মুক্ত হবেন। এরপর কী করবেন ভেবে দেখবেন। তবে সরকার চাইলে তিনি ভেবে দেখবেন।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৫৫ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের মেয়াদ শেষ করেন। 

একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান। অভিযোগ উঠেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে তিনি যবিপ্রবির ১৪ লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে আলোচিত হন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আর লিফটকাণ্ডে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বাসিন্দা আব্দুল করিম। দুর্নীতি দমন কমিশনে রয়েছে ড. আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতির ফাইল।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উসামাহ বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের একটাই মাত্র দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতি সভাপতিসহ  সব দালালদের পদত্যাগ করতে হবে। 

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন জানান, ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ার হোসেন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে তার পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আন্দোলন করা হবে।

টিএইচ