- যথা সময়ে তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
- নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ কতৃপক্ষের
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কতৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগ ও দপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইট হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়ার পরেও ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ বিভাগ এবং দপ্তর তাদের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করেনি।
এমনকি কয়েকটি বিভাগের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায় সেখানে একটিও নোটিশ নেই। নোটিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য ও সেখানে নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। দেখা যায়, এগ্রো প্রোটাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি, এনভাইরোনমেন্টাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ওয়েবসাইটে এখন ও পর্যন্ত কোন নোটিশ নেই। রসায়ন বিভাগের ওয়েবসাইটে একটি মাত্র নোটিশ আছে ২০২০ সালের।
কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়েবসাইট আপডেট করা হয়েছে শেষ ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। মার্কেটিং বিভাগের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হয় শেষ ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর, ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হয় শেষ ২০১৯ সালে। পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়েবসাইট শেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২১ সালের ১৬ই জুলাই। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়েবসাইট শেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। এছাড়া ইলেকটিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়েবসাইটে ও নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের ওয়েবসাইটে নামমাত্র দু একটি নোটিশ দেখা যায়। আইসিটি সেল ও ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস সেন্টারের তথ্যগুলো সংরক্ষিত ও নিয়মিত আপডেট হলেও তথ্যে ঘাটতি রয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ট্রেজারার দপ্তরের কোন নোটিশ বা তথ্য এখন ও ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয় নি। রেজিস্ট্রার দপ্তর ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের ওয়েবসাইট শেষ হালনাগাদ করা হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।
ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউটশ অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ এন্ড রিসার্চের পরিচালকের পক্ষ থেকে বার্তা ব্যতীত কোন তথ্য নেই ওয়েবসাইটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ না করায় যথা সময়ে আমাদের কাছে নির্দেশনা পৌঁছাচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তর থেকে আমাদের বিভিন্ন সময় তথ্য প্রয়োজন হয় কিন্তু স্ব-শরীরে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয় না ফলে ওয়েবসাইটে যাই কিন্তু সেখানেও কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এটা আমাদের ব্যথিত করে সাথে ভোগান্তিও বাড়ে।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহাদ সৈকত বলেন, বর্তমান যুগ হলো নিজেকে প্রকাশ করার যুগ। যে বা যারা যত বেশি নিজেদের তুলে ধরবে তারা তত বেশি মূল্যায়িত হবে। অথচ আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগ এবং দপ্তরের ওয়েবসাইটে কিছু পাওয়া যায় না। এটা আমরা আশা করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. ইমরান খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটকে আধুনিকায়ন করার জন্য আমরা অনেক আগেই উদ্যোগ নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি দপ্তর ও বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা ডোমেইন দিয়ে তাদের অ্যাকসেস দিয়ে দিয়েছি।
তারা চাইলেই যে কোন সময় তাদের তথ্য তারা হালনাগাদ করতে পারে। বার বার নোটিশ দিয়ে তথ্য হালনাগাদের জন্য বলা হলেও তারা তথ্য হালনাগাদ করেনি। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার থাকে না।
টিএইচ