বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

রাবিতে কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় ক্ষতি ৪ কোটি

রাবি প্রতিনিধি

রাবিতে কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় ক্ষতি ৪ কোটি

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে চালানো সহিংসতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১০টি হলের ১৫৮টি কক্ষে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। আবাসিক হলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক হল ও অন্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। পরিদর্শনকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, মাদার বখ্শ হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন। 

এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ভিসি বলেন, আন্দোলন চলাকালে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেছিল। অথচ প্রচার করা হয়েছিল ছাত্ররাই আমাদের অবরুদ্ধ করেছে, যা সঠিক নয়। ওই সময় প্রায় অর্ধশত শিক্ষক এবং প্রায় শতাধিক কর্মচারী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। পরে নাশকতা চালানো হতে পারে বিষয়টি অনুধাবন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে জানাই। এরপর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন। 

এসময় ভিসির সঙ্গে রাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক নাসিমা আখতারসহ রাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম একরাম উল্যাহকে আহ্বায়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুলকে সদস্য সচিব করে গত বৃহস্পতিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটিকে ঘটনার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কী করণীয় (সুপারিশ) সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এজন্য কমিটিকে আট সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। 

উপাচার্য বলেন, আবাসিক হলের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষরা। তাতে দেখা গেছে ১০টি হলের ১৫৮টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় চার কোটি টাকা। ভিসি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টা আগে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও হলগুলোকে বসবাসের উপযোগী করতে হবে। 

বেশকিছু হল এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে কেউ দেখলে তার মনে আঘাত লাগবে। তাই আমরা চাইনা যে শিক্ষার্থীরা এসে এসব দেখুক। আমরা এসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সহিংসতা ঘটে গেছে এটা খুবই দুঃখজনক। প্রথমে যে আন্দোলন হয়েছিলো কোটা সংস্কারের দাবিতে, সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিলো। কিন্তু গত মঙ্গলবার একটা দুর্বিত্তায়ন হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকে জ্বালাও পোড়াও করেছে। 

টিএইচ