সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণে প্রস্তুত হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণে প্রস্তুত হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় গ্রাজুয়েটদের যে সংখ্যা বাড়ছে, আমাদের অর্থনীতির যে গ্রোথ বাড়ছে। এর জন্য কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। একটা বিশাল অংশের যেন কর্মসংস্থান হয়।

আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার হলো তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। উচ্চশিক্ষা খাতে আরো পরিবর্তন আনার জন্য আউটকাম বেজড পরিকল্পনা করছি। আমাদের উচ্চশিক্ষা খাতের শিক্ষার্থী ও কর্মদাতাদের চাহিদার মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। 

এই (মিস ম্যাচ) পার্থক্য আমরা দূর করতে চাই। যাতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অবদান রাখতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন কর্মমুখী শিক্ষা অর্জন করতে পারে। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

আমাদের উচ্চ শিক্ষা প্রকল্পে তিনটি জিনিস উল্লেখ করার কথা জানিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, আমাদের উচ্চ শিক্ষা প্রকল্পে তিনটি বিষয় থাকতে হবে। মূল্যবোধ, দক্ষতা ও জ্ঞান। মূল্যবোধ হচ্ছে আমাদের দেশ যে আদর্শের উপর স্বাধীন হয়েছে সেই আদর্শ ধারণ করা। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,  বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ধারণ করতে হবে।  আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে। 

নারী-পুরুষের সমতায় বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের সমাজে কোনোভাবেই ধর্মে ধর্মে বিভাজন কাম্য না। নারীর প্রতি সহিংসতার মানসিকতা দূর করতে হবে। ধর্ম কখনো বিভাজনের কথা বলে না। 

দক্ষতার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন সফট স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমন বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাগত দক্ষতা। এটা আমাদের দেশে যথেষ্ট দুর্বলতা আছে। প্রেজেন্টেশন স্কিল, কম্পিউটার স্কিলও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 আমার উপস্থাপনার দক্ষতা না থাকলে কেউ আমাকে চাকরি দিবেন না। রিসার্চ, প্রেজেন্টেশন স্কিলগুলো আমাদের অর্জন করতে হবে। যে বিষয়ে আমি পড়ি না কেন, যদি সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে চাই, তাহলে আমার সফট স্কিল বৃদ্ধি পাবে। জ্ঞানের প্রায়োগিক ব্যবহারে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে, এই দক্ষতা ও মূল্যবোধ গুলো কাজে লাগাবেন। 

পাবলিক বা প্রাইভেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে বিভক্ত করা উচিত নয় জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে পাবলিক ও প্রাইভেটের মধ্যে বিভাজন করা উচিত নয়।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও দাতাদের টাকায় চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী যেন সমান সুযোগ পান। সেই বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।  যেসব বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার সুনাম অর্জন করেছে। সেখানে যেন আরো উচ্চতর পর্যায়ের গবেষণা করতে পারে সে সুযোগ করে দেয়ার সময় এসেছে। এটার দিকে আমরা নজর রাখছি।

সমাবর্তনে অন্যান্য অতিথিদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন,অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন জার্মানির কিউন লজিস্টিকস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাককিনন।

এছাড়া সমাবর্তনে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।

টিএইচ