প্রাথমিকে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইন বদলি ও শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ হচ্ছে। শিক্ষকরা এখন ৩ বছর পর পর বদলি হবে। বদলিতে সর্বোচ্চ সচ্ছতার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন জায়গায় পদশূণ্য রয়েছে সেখানে মামলা ও রিট রয়েছে সেগুলোর নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ৷
রোববার (৩০ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, আমাদের টিচিং লার্নিং আওয়ার বাড়াতে চাই। শিফট হওয়ার কারনে আমাদের কম্প্রমাইজ করতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা এক শিফটে নিয়ে আসতে চাই। এতে টিচিং লার্নিং আওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা করা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৬৫ হাজার ৬৭০ টি স্কুল রয়েছে। সেখানে এক শিফটের স্কুলের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৮৪ টি রয়েছে। সেখানে ৭টা বা তার অধিক ক্লাসরুম আছে। এর মধ্যে এখনো ১০ হাজার ৯১৫ টি স্কুলে ডাবল শিফট চালু হচ্ছে। তার মানে ৪ হাজারের মতো স্কুল আছে এক শিফটে চালু হচ্ছে।
আমার এই ১০ হাজার ৯১৫ টি স্কুলের মধ্যে ৩ হাজার ৩৩৭টি স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ৭ জনের বেশি এগুলো আমরা সিঙ্গেল শিফটে করে নিচ্ছি। আর ডাবল শিফটে পরিচালিত হয় কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ জন বা তার কম এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮০৯টি।
যার মধ্যে ১ হাজার ৩৪৮ টি বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের সংখ্যা ৭ বা তার বেশি। ৯ হাজার ৯৯৫টি বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের সংখ্যা ৩ থেকে ৬ টি এবং ৬৩৩ টি বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের সংখ্যা ২ বা তার কম। আমরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ক্লাস রুমের সংখ্যা ও শিক্ষকের সংখ্যা-এই তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা এক শিফটে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম কিন্তু শ্রেণী কক্ষ বেশি সেসব প্রতিষ্ঠানে আশপাশের স্কুল থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে আসতে হবে। আবার ভালো শিক্ষক যেসব প্রতিষ্ঠানে আছে সেখানে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হচ্ছে। আমরা যখন শিক্ষক অদল-বদল করে দিব একটি স্কুলে সব ভালো শিক্ষক আবার সব খারাপ শিক্ষক এই চিত্র থাকবে না।
টিএইচ