সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

সফিউল আলম, কক্সবাজার

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

টানা তিন দিনের ছুটি এবং ১০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।

শুক্রবার সমুদ্র সৈকতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হয়।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতের তিন কিলোমিটারজুড়ে দেখা গেছে মানুষ আর মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করে তারা সৈকতে ছোটাছুটি করছেন, সাগরে সাঁতার কাটছেন। সাগরের পানি আরামদায়ক। ঢেউও কম। হালকা ঢেউয়ে ভেসে ভেসে আনন্দ করেন পর্যটকরা।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেছেন, প্রচণ্ড গরম, ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় এতদিন অনেক পর্যটকই কক্সবাজারমুখী হননি। তবে তাঁদের আশা, এই ৩ দিনের ছুটি ঘিরে পর্যটননগরী কক্সবাজার আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। এবার ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক আসবেন বলে তাদের ধারণা।

বিকার ৪ টায় সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, এখন আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সাগর শান্ত রয়েছে। সাগরের নোনাজলে নানা বয়সী পর্যটক গোসলে নেমেছেন। কেউ আবার বিচ বাইকে ও ঘোড়ায় চড়ে সৈকতে মজা করছেন। অনেকে তাঁদের আনন্দময় মুহূর্তের ছবি তুলছেন।

শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রাণীর অ্যাকুরিয়াম রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে চলছে বিশেষ ছাড়। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, সাগরতলের রহস্য সম্পর্কে জানাতে এই অ্যাকুরিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটনশিল্প বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় এটি কাজ করেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে পাঁচ শতাধিক। এখানে রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো পর্যটকের।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, এখন ৯৫ শতাংশ হোটেলের কক্ষ ভাড়া হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক সমাগম অব্যাহত থাকবে। পর্যটকদের সেবায় খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ-কর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যদের কর্মতৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, এবারের পর্যটন দিবসে কক্সবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও খাওয়া দাওয়ায় বিশেষ ছাড়ের খবর সারা দেশে সাড়া ফেলেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখা ও পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।

এআই