২০১৭ সালে শুরু হওয়া ‘‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’’ এর নামে মিয়ানমারের বর্মী সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা প্রায় ২৪ হাজার নিরস্ত্র নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে জীবন বাঁচাতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছেন।
বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে ‘রোহিঙ্গা’’ নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দেশের ১১ সিনেমা হলে এটি মুক্তি পেয়েছে বলে জানালেব নির্মাতা। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন আটকে ছিল সিনেমাটি। প্রায় একবছর আগে আনকাট সেন্সর পায় ‘রোহিঙ্গা’।
২০১৭ সালে শুটিং শুরু হয় এ সিনেমার এবং পরিকল্পনা ছিল ২০২০ সালেই মুক্তি দেওয়া হবে এটি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে দেড় বছর সিনেমা হল বন্ধ ছিল। ফলে পিছিয়ে যায় সিনেমার সেন্সর।
মুক্তির আলো দেখতে পেল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতার এ সিনেমাটি। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আরশি, ওমর আয়াজ অনি, সুচি, সাগর, বৃষ্টি, তানজিদ, হায়াতুজ্জামান, গোলাম রাব্বানিসহ আরও অনেকে।
সিনেমা সম্পর্কে ডায়মন্ড বলেন, ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমি প্রথম সিনেমা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু সে সময়ে এটি সম্ভব হয়নি।
অনেক প্রতিকূলতা পার করে আমার সিনেমাটি মুক্তি পেল। রোহিঙ্গা সমস্যাটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত, সেটিও সিনেমায় ফুটে উঠেছে।
টিএইচ