মাত্র চার বছর চলচ্চিত্রে কাজ করে সাফল্য অর্জন করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহ। যার পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়েছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। তিনি বেঁচে থাকলে আজ ৫২তম জন্মদিন পালন করতেন। মৃত্যুর দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আজও দর্শকের হৃদয়ের মণিকোঠায় তার নামটি উজ্জ্বল। ক্ষণজন্মা এই নায়ক মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্র ও বেশ কিছু নাটকের মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন তারুণ্যের প্রতীক।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই মহাতারকা। মাত্র ২৫ বছরের জীবন সালমান শাহ’র। ক্ষণজন্মা অথচ কি বিস্তৃত প্রভাব! তখনও যেমন ছিলেন, আজো তেমন উজ্জ্বল রয়েছেন তিনি।
মানুষের মনে এতটা জায়গা নায়করাজ রাজ্জাক পরবর্তী সময়ে কেউ নিতে পারেননি। হয়তো অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বলেই এত দ্যুতি ছড়াতে পেরেছিলেন, মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে গেছেন। যে দাগটা তার প্রস্থানের এত বছর পরেও সজীব। তার অনুপস্থিতি আর অকাল প্রস্থান আজো পোড়াচ্ছে অসংখ্য মানুষের মন।
সালমান শাহকে বলা হয় ৯০ দশকের শ্রেষ্ঠ নায়ক। টেলিভিশনেও তার অভিনীত বেশ কিছু নাটক জনপ্রিয়তা পায়। এর আগে ১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় ‘কথার কথা’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচার হতো।
এর কোনও একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়। হানিফ সংকেতের কন্ঠে গাওয়া এই মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়ার মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়াতে প্রথম সবার নজর কাড়েন।
তার উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- কেয়ামত থেকে কেয়ামত, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, বিক্ষোভ, স্নেহ, প্রেমযুদ্ধ, কন্যাদান, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, আশা ভালোবাসা, বিচার হবে, এইঘর এই সংসার, প্রিয়জন, তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, জীবন সংসার, মায়ের অধিকার, স্বপ্নের নায়ক, শুধু তুমি, আনন্দ অশ্রু। এ ছাড়া তিনি টিভি নাটকেও বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে লাখো ভক্তদের কাঁদিয়ে আত্মহত্যা করেন বাংলা সিনেমার এই মহাতারকা। যদিও তার মৃত্যু আজো রহস্য হয়েই আছে সকলের কাছে।
টিএইচ