মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

‘স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করতে আরো জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করতে আরো জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করছি। কোভিডে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আমরা জনবলের নতুন অর্গানোগ্রাম করছি।

তিনি বলেন, আমাদের হেলথ মিনিস্ট্রিতে জনবল আছে তিন লাখ, নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ জনবল লাগবে। যদিও সরকার রাতারাতি এগুলো দিতে পারবে না। জনবল নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি বাস্তবায়িত হবে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইউরোলোজিক্যাল সার্জন্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনশক্তির ঘাটতি আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। বড় বড় হাসপাতাল, নতুন নতুন বিভাগ ও সাব স্পেশালিটি বিবেচনা করে জনবলের নতুন কাঠামো তৈরি করেছি, যা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। 

এ নিয়ে প্রায় বছর ধরে কাজ চলছে। এটি ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা শিগগিরই বসবো। আমরা যে লোকবল চেয়েছি, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য আমাদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনায় ডাকা হয়। আমরা বলেছি, আমাদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্য সেবার আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে যত কিডনি রোগী রয়েছে, তাদের অধিকাংশই জানে না কীভাবে কিডনি নষ্ট হচ্ছে। আগামীতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি আধুনিকায়ন হলে মানুষের সেবা নেওয়ার হার বাড়বে। কিডনি চিকিৎসা আরও উন্নত হওয়া দরকার। আইনও করেছে সরকার। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন সেভাবে হচ্ছে না। যেখানে প্রতিবছর ৫ হাজার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, সেখানে হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ২০০-এর মতো।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর নতুন ৫টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে কোভিডকালীনে ১২ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডিং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা ৩৪ কোটি টিকা দিয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে ৫ম। সাউথইস্ট এশিয়ায় প্রথম। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট খুবই কম। এছাড়াও নতুন নতুন হাসপাতালগুলোতে ইউরোলোজি থাকার কথা। সরকারি সব হাসপাতালে ইউরোলোজি ডিপার্টমেন্ট যেন হয়, সেটি আমরা করবো। অনুষ্ঠানে প্রমোশন, পোস্টিংয়ের কথা এসেছে। যেহেতু এখানে আলোচনা হয়েছে, আমরা বিষয়টি দেখবো।

টিএম