সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

‘টিবিতে মৃত্যুহার কমেছে, নির্মূলে চিকিৎসা আরও বাড়াতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘টিবিতে মৃত্যুহার কমেছে, নির্মূলে চিকিৎসা আরও বাড়াতে হবে’

টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার আগের চেয়ে কমেছে। তবে নির্মূল করতে হলে চিকিৎসা সেবা আরও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টিবি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, টিবিতে অনেক অগ্রগতি লাভ করেছি। মৃত্যুহার কমেছে। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে জিনএক্সপার্ট মেশিন রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে।

দেশে সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে। তবে মাঝেমধ্যেই মহামারি দেখা যাচ্ছে। আমরা সেসব নিয়ন্ত্রণে সর্বদাই প্রস্তুত আছি। অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বেশি হচ্ছে, শতকরা ৭০ ভাগ মৃত্যু এসব রোগে। টিবিতে প্রতিবছর ৩ লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মৃত্যুহার কমেছে, ৭০ হাজার থেকে ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। 

আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি। টিবিতে অগ্রগতি হয়েছে। টিবি স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলছে। আমাদের সকল হাসপাতালে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। 

টিবির বিষয়ে আমাদের দেশে স্ট্রিগমা আছে। তবে পরিবর্তন আসছে। মানুষ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছে। ৮৫ থেকে ৯০% দেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক।

তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্যখাত চাপে পরেছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। সরকারকে নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে ৷ নতুন নতুন শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। 

এ সময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যেখানে সারাবিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।

আমাদের দেশে এখন টিবির ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এগুলো দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করবো। আমাদের ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।

ডেঙ্গু বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েছে। প্রতিদিন শতশত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এখন প্রতি জেলাতেই রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমারা সহায়তাও দিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত কিন্তু আক্রান্ত হার কমাতে মশা কমাতে হবে। এটি স্থানীয় সরকারকে করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আ ক ম আমিরুল মোর্শেদ প্রমুখ।

টিএইচ