আগামী সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মিশর, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফর করবেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে, গত ২০ বছরের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী রোববার (২৯ জানুয়ারি) থেকে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। মিশরে দু`দিনের সফর শেষে ৩০ জানুয়ারি যাবেন ইসরায়েলে।
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি সরকারের প্রধান হিসাবে এক মাস আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন।
এই সফরে জেরুজালেম ও রামাল্লায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকে সহিংস পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক হবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেন ইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন লিবিয়া ও সুদানসহ আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ‘নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সহিংসতা চক্রের অবসান ঘটাতে ও উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেবেন।’
এদিকে, গত ১৮ বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয় গত বৃহস্পতিবার। ২০০৫ সাল থেকে এধরনের অভিযানের তথ্য-উপাত্ত রেকর্ডে রাখছে জাতিসংঘ।
এদিন ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নামে ইসরায়েলের সেনারা। ইসলামিক জিহাদের সদস্যদের দমনের এই অভিযানে এক বৃদ্ধাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ হামলা প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক বারবারা লিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি বেসামরিক লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের দখল নিয়ে মতানৈক্য হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবারের অভিযানে ফিলিস্তিনিদের হতাহতের ঘটনা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরকে আরও কঠিন করে তুলবে।
টিএইচ