পশ্চিম তীরের এক ফাঁড়িতে ইহুদিদের স্থায়ী বসতি গড়ার সুযোগ দেওয়ায় ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোমেস নামের ঐ ফাঁড়িতে এমন সিদ্ধান্ত না নিতে অতীতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার ‘দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল’ পত্রিকা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান বৃহস্পতিবার এক আদেশে সই করেন। এতে ইসরায়েলিদের হোমেস ফাঁড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। এবং এর মাধ্যমে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতি নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হলো বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করেছে। বিশেষ করে হোমেস ফাঁড়িতে কিছু না করতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হোমেস ফাঁড়িতে স্থায়ী বসতি নির্মাণের অনুমতি দেয়া সংক্রান্ত ইসরায়েল সরকারের আদেশে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী ওই এলাকাটি ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ঐ আদেশ ২০০৪ সালে ইসরায়েল সরকারের করা অঙ্গীকার এবং অতি সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের কাছে করা অঙ্গীকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিষয়ে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসের কাছে জানতে চাইলে এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ওই আদেশের উদ্দেশ্য হোমেসে থাকা একটি ধর্মীয় স্কুলে ইসরায়েলিদের যাওয়ার অনুমতি দেয়া। ওই জায়গাটি নতুন করে গড়ে তোলার কোনো ইচ্ছা ইসরায়েল সরকারের নেই বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভূমিতে ইসরায়েলিদের থাকতে দেয়ার অনুমতি দেয়ারও ইচ্ছা নেই বলে জানান ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইটামার বেন গেভির রোববার আল আকসা মসজিদে গিয়ে ঘোষণা করেন যে, ‘এর দায়িত্বে’ এখন ইসরায়েল। এমন ‘উসকানিমূলক সফর’ এবং ‘সেই সঙ্গে উত্তেজনামূলক বক্তব্য’ নিয়েও ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিলার।
টিএইচ