কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন বৃটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। কিছুক্ষণ আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন তিনি। এরপরই নতুন সরকার গঠনের জন্য ঋষি সুনাককে আমন্ত্রণ জানান রাজা চার্লস। লিজ ট্রাস বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সেখানে প্রবেশ করেন সুনাক। এরপর রাজার সঙ্গে প্রাসাদের ১৭৪৪ নম্বর কক্ষে সাক্ষাৎ হয় তার।
এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং ঋষি সুনাককে বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এরপরই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নতুন গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দেবেন। এর আগে থেকেই নতুন মন্ত্রীপরিষদে কার কার স্থান হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ দলের সাবেক নেতা ইয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া উচিত শুধুমাত্র মেধার ওপর ভিত্তি করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেওয়ার আগে রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছেছেন ঋষি সুনাক। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
পিএ মিডিয়া রিপোর্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাকিংহাম প্যালেসে ঋষি সুনককে রাজার প্রধান ব্যক্তিগত সচিব স্যার ক্লাইভ অ্যাল্ডারটন এবং রাজার সহকারী কুইন কনসোর্ট, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনি থম্পসন এবং রাজার যুগ্ম প্রধান ব্যক্তিগত সচিব স্যার এডওয়ার্ড ইয়ং স্বাগত জানান।
অন্যদিকে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, প্রথমেই ১৫ জন নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত। এ অবস্থায় চোখ পড়েছে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার পদে। এটি হলো রাজস্ব, সরকারি আর্থিক বিষয়, ট্যাক্স পলিসি এবং ব্যয়ের খাত দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ। এরপরেই আসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদের বিষয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃটেনের পররাষ্ট্রনীতি এবং অন্য দেশের সঙ্গে বৃটেনের সম্পর্ক নির্ধারণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ অন্য পদের মধ্যে আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় অভিবাসন ও পুলিশের বিষয় আশয় দেখাশোনা করে। তবে বর্তমান চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট নিরাপদ থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য পদগুলোতে যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তার মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ডমিনিক রাব, পেনি মরডান্ট, মাইকেল গভ এবং অলিভার ডোডেন।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ৫০তম দিনে সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে বিদায়ী ভাষণ দিয়েছেন লিজ ট্রাস। এ সময় তিনি কর হ্রাসে তার নেওয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে অনড় থেকে দেশটির নেতাদের আরও সাহসী হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার পর দুই মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে বাকিংহাম প্যালেসে যান তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, লিজ ট্রাস পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছেছেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
ইএফ